Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জন সমূহ

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনস্বীকায্য। বাংলাদের মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তর প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতীয় জিডিপি’র ৩.৫৭ শতাংশ এবং মোট কৃষিজ আয়ের ২৫.৩০ শতাংশ মৎস্য উপখাত থেকে আসে (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮) । বিগত দশকে মৎস্য খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ । দেশের রপ্তানি আয়েও এ খাত রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ। বিগত তিন অর্থবছরে (২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-২০১৯) মোট মৎস্য উৎপাদন ছিল ৭২৫০, ৯৭২০ ও ১২২২০ মেট্রিক টন। মোট জনগোষ্ঠির ১১ শতাংশের অধিক এ সেক্টরের বিভিন্ কায্যক্রমে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে মৎস্য আহরণ ও উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে যথাক্রমে ৩য় ও ৫ম স্থান অধিকার করেছে(এফএও, ২০১৮) ।

            কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য সমৃদ্ধ একটি উপজেলা । এখানকার জনসংখ্যা  ৪৫৬৩৭২ জন। এখানে ছোট-বড় ৬৯১৯টি পুকুর, বরপিট ১টি, বিল-৮টি, মরা নদ-নদী-৩টি, খাল-১৩টি, কোল-৪টি, প্রবাহিত নদী ২টি অবস্থিত। এছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের এফসিডিআই প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প অত্র উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। পদ্মা নদীর কোল সমূহকে সঠিকভাবে মাছচাষের আওতায় আনলে মাছের উৎপাদনসহ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে এই উপজেলায় মাছের মোট উৎপাদন ১৩২৭৬ মে.টন (চাহিদা-১৪২৩৫মে.টন) । এখানে মাছ উৎপাদনে কিছু ঘাটতি রয়েছে।  এই ঘাটতি পূরণে কার্প, তেলাপিয়া, পাংগাশ ও দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কারিগরী সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। মৎস্য সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন, প্রকল্পের প্রদর্শনী কায্যক্রম জোরদার, নিবন্ধিত মৎস্যচাষিসহ অন্যান্য মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির কায্যক্রম চলমান আছে।    এ পি এ –এর মাধ্যমে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের একটি সুনির্দিষ্ট জবাবদিহিতায় আনা হয়েছে। বর্তমান বছরে এপিএ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।  আগামী অর্থবছরে এপিএ এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে।